বুধবার দুই সন্তান আট বছরের মাইশা ও দেড় বছরের নুজহাতকে নিয়ে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শরিফা।
সংবাদ সম্মেলনে শরিফা বলেন, তার বাবার বাড়ি বগুড়া সদরের নিশিন্দারায়। বিয়ে হয়েছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রহলা গ্রামে। ১৪ বছর আগে বিয়ে হয় ওই গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদ সরকারের ছেলে মাহমুদ হাসান সরকারের সঙ্গে।
তিনি জানান, তার স্বামী টাঙ্গাইলে একটি টেক্সটাইল মিলে তিনি চাকরি করতেন। ছুটি হলেই চলে যেতেন বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের কাছে।
গত ১০ জানুয়ারি বরাবরের মতো কর্মস্থলে যোগদানের জন্য তার স্বামী চলে যান। তারপর থেকে তার আর খোঁজ নেই। তার দুটি ফোন নম্বরই বন্ধ বলে জানান শরিফা।
এ ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি বাবার বাড়িতে এসে বগুড়া সদর থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে শরিফা কেঁদে ফেলেন।
তিনি বলেন, “সামনে ঈদ। দুই মেয়ে বারবার বলছে-আব্বু আসবে। আমি গোপনে মুখ ঢেকে কাঁদি। উত্তর দেই না সন্তানদের কথার।”
শরিফা ও তার পরিবারের সবাই চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।