শুক্রবার ভোরে সেহরির পর মেডিকেল ক্যাম্পাসের দুই কিলোমিটার দূরে শহরের ভাঙ্গার রাস্তার মোড়ে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর হামলায় তারা আহত হন।
আহত এই তিন ছাত্র হলেন শিক্ষানিবিশ চিকিৎসক আদনান ইব্রাহিম (২৫), ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রায়হানুল ইসলাম (২৫) ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী রেদোয়ান খান (২৩)।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন জানান, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদনানকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, দুই শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও এক ছাত্রের উপর হামলার বিচার ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে রোববার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার প্রতিবাদ এবং বিচার দাবি করে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা রোববার দুপুর ১টার দিকে প্রথমে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে কলেজের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কিছু অংশ ঘুরে ক্যাম্পাস চত্বরে ফিরে যান। পরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে তারা শিক্ষনবিশ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীর উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে এর বিচার ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তারও দাবি জানান।
এ ঘটনার পর দুই দিন পার হলেও থানায় কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোররাত সোয়া ৩টার দিকে সেহরির পর মেডিকেল ক্যাম্পাস থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গার রাস্তার মোড়ে একটি চায়ের দোকানে চা পান করতে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদের সমর্থকদের হাতে মারধর ও ছুরিকাহত হন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আদনান ইব্রাহিম; মারধরের শিকার হন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রায়হানুল ইসলাম ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী রেদোয়ান খান।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিশান মাহমুদ হামলায় তার সমর্থকদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, মেডিকেলের ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ছাত্র স্থানীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় তার অনুসারী কয়েকজনের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে তিনি গিয়ে থামান।