বাগেরহাটে চাকা ফেটে বাস উল্টে নিহত ৬

বাগেরহাটের ফকিরহাটের সড়কে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ছয়জন।

বাগেরহাটে প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2019, 04:48 AM
Updated : 18 May 2019, 09:42 AM

বাসটি বেপরোয়া গতিতে এসে সড়কের পাশে একজনকে চাপা দেওয়ার পর গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রমে যাওয়া বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাসটির চাকা ফেটে যাওয়ায় চালক এর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন।

নিহতদের মধ্যে বাসচালকও রয়েছেন। খুলনা-মোল্লাহাট রুটের এই বাসটির চালকের নাম ফরহাদ (২৫)। তিনি খুলনা জেলার রুপসা উপজেলা নৈহাটি গ্রামের আবু বক্করের ছেলে।

অন্যরা হলেন চালকের সহকারী একই উপজেলার পাঁচানি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে সুমন (২৩), যাত্রী বাগেরহাট সদর উপজেলার কোদলা গ্রামের হাকিম বিশ্বাসের ছেলে হেকমত আলী বিশ্বাস (৪৫), একই উপজেলা আড়পাড়া গ্রামের ইসারাত মল্লিকের ছেলে লিটু মল্লিক (৩০),  ফকিরহাট উপজেলার বৈলতলি গ্রামের সেলিম শেখের স্ত্রী হোসনেয়ারা (৩০) ও সড়কের পাশে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিক কয়রা উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের কাদের সরদারের ছেলে কদ্দুস সরদার (৫০)।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাকডাঙা এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) সরদার মাসুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাত্রীবাহী বাসটির সামনের চাকা ফেটে গিয়েছিল। তখন বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাসটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। এটি কাকডাঙায় রাস্তার পাশে এক দিনমজুরকে চাপা দিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়।

বাগেরহাটের ফকিরহাটের সড়কের কাকডাঙা এলাকায় শনিবার সকালে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয় ছয়জন।

এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০ জন বাসযাত্রী। তাদের ফরিহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. তারিফ উদ্দীন।

তিনি বলেন, “দুর্ঘটনায় আহত ১৫ থেকে ২০ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। আনার পর একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ থেকে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।