মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো.মশিয়ার রহমান এবং কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজাদ মণ্ডল ওরফে আজাদ সাহেব কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বালিয়া শিশা গ্রামের সাদেক আলী মণ্ডলের ছেলে।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার কবরবাড়িয়া গ্রামের জামাল প্রামাণিক, আতর আলী, জামান হোসেন, আসাদুল মোল্লা, মেহের আলী মালিথা, সাতগাছি গ্রামের রুবেল মালিথা ওরফে রিবেল ওরফে রেবেল ও আসলাম মালিথা।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আলাদলতে উপস্থিতি ছিলেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আকরাম হোসেন দুলাল মামলার বরাতে জানান, ২০১৬ সালের ১৮ মে রাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে তুলি খাতুনকে যৌতুকের দাবিতে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় তুলির বাবা মিরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ অক্টোবর পুলিশ আজাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকার পক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১০ সালের ৭ জুন সকালে মিরপুর উপজেলার জিকে ক্যানেল এলাকায় ডাবলু নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আতর আলী মিরপুর থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৪ মার্চ পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করে।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তুফান নামে একজনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অনুপ কুমার জানান।