রোববার সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামে দিঘিরজান খালের চরে লামিয়া আক্তার ফারিয়ার (৬) লাশ পাওয়া যায়।
লামিয়া পাতিলাখালী গ্রামের ওমর আলী শেখের মেয়ে এবং স্থানীয় কোন্ডলা বড়–বিবি দাখিল মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্রী।
আটক তরুণ (১৮) চলতি বছর পাতিলাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ওই তরুণ সম্পর্কে নিহত লামিয়া আক্তারের ভাগ্নে।
গোটাপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোল্লা হায়দার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সন্ধ্যা ৬টা থেকে লামিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় ওই তরুণ মেয়েটিকে কোলে করে বাড়ির পাশে খাল পার হতে দেখেছেন কয়েকজন গ্রামবাসী।
পরে এক সময় লামিয়াকে দিঘিরজান খালের চরে পুঁতে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় বলে হায়দার জানান।
তিনি বলেন, খালের পাড়ে একটি গর্ত খোঁড়া অবস্থায় দেখা গেছে। মরদেহটি লুকিয়ে ফেলতে তরুণটি ওই গর্ত খুঁড়ে রেখেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
“ওই তরুণ শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে বলে গ্রামবাসী ধারণা করছে। তাই তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী।”
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, শিশুটিকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে তার নিকটাত্মীয় এক তরুণকে আটক করে পুলিশের কাছে দিয়েছে এলাকাবাসী।
“শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা এবং কীভাবে হত্যা করা হয়েছে।”