টঙ্গীতে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই,  গ্রেপ্তার ১০ 

গাজীপুরের টঙ্গীতে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2019, 06:08 PM
Updated : 22 April 2019, 06:08 PM

রোববার রাতে জিন্নত মহল বাইতুল আলিম জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ দশজনকে গ্রেপ্তার করলেও ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

গ্রেপ্তাররা হলেন ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সেলিম হোসেন (৫০), জোসনা (৩৮), জাহিদুল ইসলাম মিথুন (২৫), মুন্নি বেগম (৩৫), রাজু (২০), রেখা বেগম (৩০), কামরুল হাসান মুন্না (২০), হাফিবুর রহমান ওরফে আকাশ (১৮), রুহুল আমিন (৪০) ও সানোয়ার হোসেন (৩২)। 

এসআই বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, টঙ্গী পশ্চিম থানার পরিদর্শক সহিদুর রহমানের নেতৃত্বে রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে কয়েকজন পুলিশ স্থানীয় জিন্নত মহল বস্তি অভিযানে যায়। পরে পুলিশ ওই এলাকা থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি টিপুকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, পুলিশ তাকে নিয়ে থানায় ফেরার পথে স্থানীয় জিন্নত মহল বাইতুল আলিম জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে টিপু চিৎকার শুরু করে। টিপুর ডাকচিৎকার শুনে তার সহযোগীরা গিয়ে পুলিশের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং টিপুকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার কারণ জানতে চায়।

“এ সময় টিপুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে জানিয়ে কপি দেখানোর সময় তারা পুলিশকে ঘিরে ফেলে এবং এক পর্যায়ে পুলিশের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে টিপুকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”

তাদের হামলায় পরিদর্শক সহিদুর, এসআই রকিবুল হাসান, পিএসআই সাখাওয়াত, এএসআই শহিদুল ইসলাম খান, কনস্টেবল শামিম আহত হন বরে এসআই বিল্লাল জানান।

এ সময় হামলাকারীরা পুলিশের একটি মোটরসাইকেলের ক্ষতিসাধন এবং এএসআই শহিদুল ইসলামের সাড়ে তিন হাজার টাকাসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও পুলিশের অভিযোগ।

বিল্লাল বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং আত্মরক্ষার্থে শুটারগানের কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। 

টিপুর বিরুদ্ধে তিনটি রাজনৈতিক, দুইটি মাদকের এবং একটি খুনের মামলা রয়েছে। খুনের মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলেও বিল্লাল জানান। 

টঙ্গী থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ সহিদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে  টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন রাতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে  এবং ৩০/৩৫ অজ্ঞাত জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। 

টঙ্গী থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, সোমবার সকালে বস্তিু এলাকা থেকে হাতকড়াটি উদ্ধার করা হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক সহিদুর রহমান বলেন, “শুনেছি হাতকড়াটি বস্তি এলাকার কোনো এক স্থানে ফেলে গেছে। আসামিকে পাওয়া যয়নি।”