যুবলীগ নেতার বাড়িতে পুলিশের হামলা-লুটপাটের অভিযোগ

‘আসামি ধরার নামে’ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় ‘সন্ত্রাসী নিয়ে’ এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2019, 05:23 PM
Updated : 22 April 2019, 05:27 PM

সোমবার বীরবখুরা গ্রামে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার আহমেদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে কাউসারের পরিবারের অভিযোগ।

তবে গফরগাঁও থানা পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

কাউসারের বাবা হোসেন মোড়ল অভিযোগ করেন, সোমবার বিকালে পুলিশের পোশাকে তিন মোটরসাইকেলে এবং সাদা পোশাকে তিন মোটরসাইকেলে ১০-১৫ জন তাদের বাড়িতে ঢুকে সামনের গেট লাগিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে কাউসারকে খোঁজ করে।

“তাকে না পেয়ে ঘরে ঢুকে ফ্রিজ, টিভি, শো কেস, চেয়ারসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় আলমারিতে থাকা ২১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় ৭০ হাজার টাকা লুট করে তারা।”

কাউসারের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, “আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিকা। এলাকায় আমাদের পরিবারের একটা সুনাম রয়েছে।

“কিন্তু পুলিশ আসামি ধরার নামে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে মহিলাদের অশালীনভাবে গালাগাল করে। বেড রুমে ঢুকে ফ্রিজ, টিভি, শো কেস, চেয়ারসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে।”

তাদের ছয় বছরের ছেলেকেও মারধর করে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চায় বলে অভিযোগ করেন রোজিনা।

“এছাড়া ঘরের আলমারি থেকে স্বার্ণালংকার, নগদ টাকা লুট করে তারা। যাওয়ার সময় আমার স্বামীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও নিয়ে যায়।”

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল ও সুমন হোসেন বলেন, পুলিশ কারো বাড়িতে আসামি ধরতে আসতেই পারে; কিন্তু আসামি ধরার নামে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ির বেড রুমে ঢুকে মহিলাদের গালাগাল দেওয়া, ভাংচুর ও লুটপাট করা কোন ধরনের আইন।

গফরগাঁও থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদে বালু মহালের ইজারা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় কাউসারের বাড়িতে পুলিশ আসামি ধরতে গিয়ে ছিল।

“কিন্তু সেখানে কে বা কারা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই।”

গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, বীরবখুরা গ্রামে সোমবার বিকালে পুলিশ আসামি ধরতে গিয়েছিল। সেখানে পুলিশ কোনো হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়নি।

তবে কাউসারের পরিবার হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ করেছে। আর গত রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

ব্রহ্মপুত্র নদে বালু মহালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক তাজমুন আহমেদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সানিল গ্রুপের সঙ্গে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার আহমেদের বিরোধ চলছিল।

এর জেরে গত রোববার রাতে তাজমুন, সানিল গ্রুপের সঙ্গে কাউসার গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচ জন আহত হন।