বুধবার কাশীপুর ভোলাইল এলাকায় কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের (৫২) লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত ৩১ মার্চ নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
সেলিমের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা সাংবাদিকদের বলেন, সেলিম গার্মেন্টসের থান কাপড় ও ঝুট ব্যবসা করতেন। তাদের বাড়ি বক্তাবলীর কানাইনগর হলেও তারা ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
গত ৩১ মার্চ সকালে বাসা হতে ব্যবসার কাজের উদ্দেশে তার স্বামী সেলিম বের হয়ে যান বলে জানান রেখা।
রেখা বলেন, ওইদিন বেলা ১১টার দিকে তিনি মোবাইল ফোনে তার স্বামীর অবস্থান জানতে চাইলে সেলিম চৌধুরী জানিয়েছিলেন তিনি ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে ইস্টার্ন ব্যাংকে রয়েছেন। এরপর দুপুর ২টায় খাবার খাওয়ার জন্য ফোন করলে তার ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রেহেনা আক্তার বলেন, সেলিম ভোলাইল এলাকার মোহাম্মদ আলী নামের এক ঝুট ব্যবসায়ীর কাছে দুই লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। ওই টাকা নিয়ে টালবাহনা করছিল মোহাম্মদ আলী।
“আর ৩১ মার্চ তিনি পাওনা টাকা চাইতে আলীরটেকের ডিগ্রিরচর গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আলীর ভোলাইলের ঝুটের গুদামে যায়। এর পর থেকে সেলিম নিখোঁজ থাকে।”
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, সেলিম চৌধুরী পাওনা টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এই ঘটনায় তার স্ত্রী গত ৩ এপ্রিল থানায় জিডি করেছেন। পরবর্তীতে ৭ এপ্রিল অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
“পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তার ব্যবসায়িক অংশীদার মোহাম্মদ আলীর কর্মচারী ফয়সালকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেখানো মতে ঝুটের গুদামের ভেতর থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা সেলিম চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করা হয়।”
ওই পাওনা টাকার জের ধরেই মোহাম্মদ আলী ও তার কর্মচারী সেলিম চৌধুরীকে হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখে, বলেন ওসি আসলাম।