মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল জানান, রোববার দুপুরে মামলার ৩ নম্বর আসামি উত্তর বাগ্যা গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে ফজলু আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
জেলার ২ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একই আদালত এ মামলার তিন আসামি রুবেল, আরমান ও রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের এবং বেচু মাঝিকে দুইদিনের হেফাজত (রিমান্ড) মঞ্জুর করে।
চাঞ্চল্যকর এ মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামির মধ্যে পাঁচ আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তিন আসামি আদালতে হাজির হলে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ, গত ৩১ মার্চ সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের দ্বন্দ্বে উত্তর বাগ্যা গ্রামের ছয় সন্তানের জননী স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় ইউসুফ মাঝি ও বেচু মাঝির নেতৃত্বে ১০-১২ জন পথ আটকে তাদেরকে মারধর করে। এক পর্যায়ে স্বামীকে আটকে রেখে ওই নারীকে পাশের কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে বেচু মাঝি, ফজলু ও আবুল বাসার।
পরদিন নির্যাতিতার স্বামী আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও চার জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।