রোববার এই উপজেলার স্থগিত নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মন বলেন, ভোট গ্রহণ শেষে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, উপজেলার সিংজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে বনগ্রাম রুইমারী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন (১৪), জাহিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (১৮) ও শরিফুল ইসলামের ছেলে রায়হান মিয়াকে (১৯) আটক করা হয়েছে।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয় জন, ভাইস চেয়ারম্যান পাঁচ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আট জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের আব্দুল লতিফ প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির আবদুল মতিন মোল্লা, স্বতন্ত্র মুকিতুর রহমান রাফি, স্বতন্ত্র জাহিদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র ফেরদাউস আলম রাজু ও স্বতন্ত্র নাজমুল ইসলাম লিটন। স্বতন্ত্র সবাই আওয়ামী লীগ নেতা।
এই উপজেলার নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ের দিন গত ২০ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী নাজমুল ইসলাম লিটনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে লিটন ২৬ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে রিট পিটিশন করেন। পরে হাই কোর্ট তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়ার আদেশ দেয়। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে লিটনের প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে ব্যালট ছাপানো সম্ভব নয়। তাই হাই কোর্টের নির্দেশ পালন করতে নির্বাচন কমিশন গত ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছিল।