ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার পর ‘থানায় নিয়ে নির্যাতন’

কিশোরগঞ্জ সদরে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়ার পর থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিমারুফ  আহমেদ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2019, 02:23 PM
Updated : 25 March 2019, 02:24 PM

এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রোববার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র্রে এক বিচারিক হাকিমের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মী আযহারুল হক তমালের (২৩) কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ওই হাকিম ভ্রম্যমাণ আদালতে তমালকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

কিন্তু পুলিশ সদস্যরা তাকে সদর মডেল থানায় নিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন এবং পরে তাকে পুলিশ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান বলে বক্তারা অভিযোগ করেন। 

তবে নির্যাতনকারী পুলিশ সদসে্যের নাম কিংবা পদবী জানা যায়নি।

দুপুর ১২টায় জেলা শহরের কালীবাড়ি মোড়ে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এ বি সিদ্দিক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজুল হক এবং যশোদল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কথিত নির্যাতনের শিকার তমালের বাবা শফিকুল হক বাবুল হাজী।

মানববন্ধন শেষে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে যান।

সেখানে তারা থানার ভিতরে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবি করে শ্লোগান দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকালে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ কর্মসূচি পালনকারীদের সামনে হাজির হয়ে বলেন-“অভিযুক্ত পুলিশকে ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।”

এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মিয়া মো. ফেরদৌস বলেন, মোবাইল কোর্টে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ক্ষেত্রে পুলিশের একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে কারাগারে সমর্পণ করা।

“কিন্তু পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসামিকে শারীরিক নির্যাতন প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”