নিহত বুদু আলী (৩০) গাংনী উপজেলার পীরতলা গ্রামের মৃত জোয়াদ আলীর ছেলে।
গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার বলছেন, বুদু মাদক কেনাবেচায় জড়িত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
বুদুকে গ্রেপ্তার করার কথা অস্বীকার করেছে গাংনীর পুলিশ।
ওসি হরেন্দ্র নাথ বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে গোলাগুলির খবর পেয়ে পীরতলা পুলিশ ক্যাম্পের একটি টহল দল সেখানে যায়। সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বুদুকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বুদুকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে এক কেজি গাঁজা, ২০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বুদুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বুদুর স্ত্রী হুসনে আরা জানান, মাদক সেবনের অভিযোগে এক মামলায় বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরেন তার স্বামী।
এরপর গত শুক্রবার একদল লোক এসে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বুদুকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বলে হুসনে আরার ভাষ্য।
তার দাবি, বুদু মাদকের কারবারে জাড়িত ছিলেন না। ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তারা থানায় যোগাযোগ করলেও সেখানে তিনি স্বামীর খোঁজ পাননি।
হুসনে আরার অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার দাবি করেন, বুদুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি, তার খোঁজে কেউ থানাতেও যায়নি।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কেউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।