সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের চামরুল গ্রাম থেকে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ২২ বছর বয়সী জলি বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জলি ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী পলাশ বিশ্বাসের স্ত্রী।
নড়াইল সদর থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, চার বছর আগে চামরুল গ্রামের বক্কার বিশ্বাসের ছেলে পলাশ বিশ্বাসের সঙ্গে একই উপজেলার চণ্ডিবরপুর ইউনিয়নের রাজপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ কালাম বিশ্বাসের মেয়ে জলি বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে জলির শ্বশুর বক্কার বিশ্বাস, শাশুড়ি জাহেদা বেগম ও দেবর জুয়েল বিশ্বাস পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জলির মা সেলিনা বেগম বলেন,“ জলিকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলতো। কিন্তু অভারের সংসারে টাকা জোগাড় করে দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। টাকা না পেয়ে আমার মেয়েকে তারা নির্যাতন করতো।”
নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কয়েকদিন আগে জলি বাড়িতে চলে আসে। শুক্রবার বিকেলে জলিকে তার দেবর জুয়েল এসে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
সেলিরার অভিযোগ, “শনিবার বিকাল ৪টার দিকে জলি আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে। এর ২০ মিনিট পর সময় ফোন করে জানানো হয়, জলি খুব অসুস্থ। আমরা তার শ্বশুর বাড়ি গিয়ে দেখি মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে।”
নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, নড়াইল সদর হাপাসাতালে নিহত গৃহবধূর ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এছাড়া তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।