নিহতদের মধ্যে একজন ছিনতাই ও ডাকাতি মামলার আসামি, ‘সন্ত্রাসীদের নিজেদের কোন্দলের জেরে’ তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
তবে অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। দুই ঘটনার মধ্যে কোনো যোগাযোগ আছে কি না, সে বিষয়েও পুলিশ স্পষ্ট কিছু বলেনি।
জীবননগর থানার ওসি শেখ গনি মিয়া জানান, গ্রামবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সন্ন্যাসীতলা এলাকায় গিয়ে জিন্স আর নীল শার্ট পরিহিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। তার মাথা ও বুকে গুলির চিহ্ন ছিল।
পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম ইমরান হোসেন (২৬)। সে আলমডাঙ্গা শহরের মসজিদ পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে।
“ইমরান অপরাধমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।”
“নিহত যুবকের বয়স আনুমানিক ৩০ বছর, তার পরনে ছিল জিনস, গায়ে টি শার্ট। গুলিবিদ্ধ লাশের হাত-পা বাঁধা ছিল। তার পরিচয় জানা যায়নি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “অন্য কোনো স্থানে হত্যার পর লাশটি ওই জায়গায় ফেলে গেছে বলে মনে হচ্ছে। তার মাথা ও বুকে গুলির চিহ্ন আছে। লাশের পাশেও একটি গুলি ছিল।”
ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।