কলারোয়ায় ঝড়-শিলাবৃষ্টির তাণ্ডব, বৃদ্ধের মৃত্যু

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাঁচ মিনিটের ঝড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2019, 02:36 PM
Updated : 26 Feb 2019, 02:36 PM

মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিট থেকে ৮টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত প্রবল ঝড় বয়ে যায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের উপর, এরপর ঝড়-বৃষ্টি চলে দিনভর। 

দুপুরে চন্দনপুর এলাকায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি ও শিলাপাতের মধ্যে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

কলারোয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম শাহনেওয়াজ জানান, ঝড়ের আঘাতে বহু বড় বড় গাছ উপড়ে গেছে। ভেঙে গেছে বাড়িঘর। উড়ে গেছে ঘরের চাল। সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে।

ঝড়ের পরপরই গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে জনজীবনে অসহনীয় দুর্গতি নেমে এসেছে বলে তিনি জানান।

কলারোয়া বাজারের ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম বলেন, পাঁচ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে তার দোকানের চাল উড়ে গেছে। এখন খোলা জায়গায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঝড়ে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে।

একটি বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ বলেন, টর্নেডোর আঘাতে উড়ে গেছে স্কুলের চাল। শ্রেণিকক্ষগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে। ক্লাস বন্ধ রয়েছে স্কুলটিতে।

তুলসীডাঙ্গার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবুল বাসার বলেন, স্থানীয় গোগ মন্দিরের সামনের দুইশ বছরের প্রাচীনকালের সাক্ষী বটবৃক্ষটি টর্নেডোর ছোবলে উপড়ে গেছে।

কয়লা এলাকার রাণী ব্রিকসের মালিক কামরুল ইসলাম সাজু বলেন, ইটভাটার কাঁচা ইটের একটিও আস্ত নেই। সব ইট গলে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ আপাতত বন্ধ রয়েছে।

ঝড়ের মধ্যে চন্দনপুর-কলারোয়া সড়কে বৃদ্ধ জামশেদ আলীর (৭০) মৃত্যু হয়েছে।

জামশেদ আলী কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের খাসপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কলারোয়া থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, জামশেদ আলী কলারোয়ার দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে যান তিনি।

“ওই সময় তিনি পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেননি। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।”

কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহসিন আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঝড়ে ৫০ হাজার হেক্টর এলাকার আমের মুকুল, পাঁচ হেক্টর জমির গম নষ্ট হয়েছে।