মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিট থেকে ৮টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত প্রবল ঝড় বয়ে যায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের উপর, এরপর ঝড়-বৃষ্টি চলে দিনভর।
দুপুরে চন্দনপুর এলাকায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি ও শিলাপাতের মধ্যে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
ঝড়ের পরপরই গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে জনজীবনে অসহনীয় দুর্গতি নেমে এসেছে বলে তিনি জানান।
কলারোয়া বাজারের ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম বলেন, পাঁচ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে তার দোকানের চাল উড়ে গেছে। এখন খোলা জায়গায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঝড়ে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে।
তুলসীডাঙ্গার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবুল বাসার বলেন, স্থানীয় গোগ মন্দিরের সামনের দুইশ বছরের প্রাচীনকালের সাক্ষী বটবৃক্ষটি টর্নেডোর ছোবলে উপড়ে গেছে।
কয়লা এলাকার রাণী ব্রিকসের মালিক কামরুল ইসলাম সাজু বলেন, ইটভাটার কাঁচা ইটের একটিও আস্ত নেই। সব ইট গলে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ আপাতত বন্ধ রয়েছে।
জামশেদ আলী কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের খাসপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কলারোয়া থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, জামশেদ আলী কলারোয়ার দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে যান তিনি।
“ওই সময় তিনি পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেননি। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।”
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহসিন আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঝড়ে ৫০ হাজার হেক্টর এলাকার আমের মুকুল, পাঁচ হেক্টর জমির গম নষ্ট হয়েছে।