রোববার নানা ধর্মীয় উপাচারে সরস্বতীর বন্দনা করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
প্রতিমা কারিগররা শেষ সময়ে সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
শেরপুর শহরের গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গণ ও রঘুনাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে শিল্পীরা নানা আকার ও আকৃতির প্রতিমা তৈরি করেন।
এই দুটি মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিমার হাটে প্রতিমা কেনার জন্য শনিবার সকাল থেকে শেরপুরসহ আশেপাশের এলাকা থেকে গ্রাহকরা ভিড় করছেন। সব বয়সের পুরুষ ও নারীরা তাদের পছন্দের প্রতিমা বিভিন্ন দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিমা কারিগর মন্টু চন্দ্র পাল, দিলিপ পাল, দয়াল চন্দ্র পাল, ধীরেন চন্দ্র পাল জানান, এবার প্রতিমার হাটে আকার ভেদে ছোট, মাঝারি ও বড় প্রতিটি প্রতিমা দুশ থেকে শুরু করে সাত/আট হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
সরস্বতী প্রতিমা বিক্রি এবার ভালো হয়েছে। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিমা বিক্রি চলবে বলে জানান প্রতিমা কারিগররা।
এ কাজ করতে তার খুব ভালো লাগছে বলে জানায় যুঁথি।
শেরপুর শহরের বাগবাড়ী মহল্লার পূজারী প্রভিট সেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাসায় মানসী পূজা ছিল। সাড়ে চার হাজার টাকা দিয়ে প্রতিমা কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।”
জামালপুরের বকশিগঞ্জের প্রতিমা দাস, মিন্টু চন্দ্র দে ও আশীষ দাস বলেন, বকশিগঞ্জ কলেজে পূজা তাই প্রতিম কিনতে গোপাল জিউর মন্দিরে এসেছেন। মোটামুটি দামের মধ্যেই একটি প্রতিমা কিনবেন।
শেরপুরের নকলা উপজেলার রামকৃষ্ণ সাহা ও দিপক সাহা তাদের পছন্দের প্রতিমা কিনতে গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে এক হাজার আটশ টাকায় প্রতিমা কিনেছেন।
গোপালবাড়ীর উজ্জ্বল সাহা বাসায় পূজা করবেন। তিনি এক হাজার টাকা দিয়ে একটি সরস্বতী মূর্তি কিনেছেন।
শেরপুর পৌরসভার মাধবপুর মহল্লার বাসিন্দা স্বপন দত্ত জানান, বাসায় পূজার করবেন বলে আড়াইশ টাকায় একটি ছোট সরস্বতী প্রতিমা কিনেছেন।
শহরের গোপাল জিউর মন্দিরের পুরোহিত গোপাল চক্রবর্তী বলেন, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা করা হয়। সনাতন ধর্মালম্বীরা সরস্বতী পূজা করেন বিদ্যালাভের আশায়। রোববার সূর্যোদয় থেকে সকাল ১০টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত সরস্বতী পূজা করা হবে বলে তিনি জানান।