এ ঘটনায় পুলিশ তার শ্বশুরকে আটক করেছে। তবে তার স্বামী পলাতক রয়েছেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মেহেদী হাসান জানান, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের মরা করতোয়া নদীর কচুরীপানার নিচ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত রেহেনা খাতুন (২৭) ওই গ্রামের শাকিল মিয়ার স্ত্রী।
ওসি মেহেদী বলেন, ১০ বছর আগে শাকিলের সঙ্গে রেহেনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রেহেনার সঙ্গে শাকিলের পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ চলছিল। সোমবার রেহেনা হঠাৎ নিখোঁজ হন। শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
“তার গলা ও হাত কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী শাকিল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রেখেছিল।”
এই দম্পতির নয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় পুলিশ রেহেনার শ্বশুরকে আটক করেছে জানিয়ে ওসি মেহেদী বলেন, তবে তার স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।