মাদারীপুরে বাঙ্গির ভালো ফলনে কৃষকের হাসি

মাদারীপুরে বাঙ্গি চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষকেরা; ইতোমধ্যে বাঙ্গি বাজারেও উঠতে শুরু করেছে।

রিপনচন্দ্র মল্লিক মাদারীপুরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2019, 08:01 AM
Updated : 2 Feb 2019, 02:28 PM

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর শীতকালেও বাঙ্গির বেশ ভালো ফলন হয়েছে; দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

কয়েক বছর আগেও বাঙ্গি চাষে মাদারীপুরের কৃষকদের মধ্যে খুব বেশি আগ্রহ দেখা যেত না; কিন্তু গত কয়েক মৌসুমে সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।  

বাঙ্গির বাম্পার ফলনে আরও এক মাস পরেও ক্ষেতে প্রচুর পরিমাণে বাঙ্গি পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী কৃষকেরা।

বর্তমানে জেলার রাজৈর, শিবচর ও কালকিনিসহ মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় হাইব্রিড জাতের বাঙ্গির চাষ হচ্ছে। আর গত বছরের মত চলতি বছরের মত এবারও বাঙ্গির ভালো ফলন দেখে খুশি কৃষকেরা।

রাজৈর উপজেলার বাজিতপুরের বাঙ্গি চাষি নূর মোহম্মদ খালাসী বলেন, গত বছর তিন বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করে আড়াই লাখ টাকার বিক্রি করেছিলাম।

“আর চলতি মৌসুমে চার বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছি। ক্ষেত থেকে আমরা এখন আগাম জাতের বাঙ্গি তুলে বাজারে বিক্রি করছি; দাম বেশ ভালো পাচ্ছি। একটি দুই কেজি ওজনের বাঙ্গি একশ থেকে দেড়শ টাকায় বিক্রি করছি।”

ওই এলাকার আরেক চাষি আবদুর রাজ্জাকও এবার বাঙ্গির ফলন ভালো হয়েছে বলে জানালেন।

তিনি বলেন, “এবার এক বিঘা জমিতে এবার বাঙ্গি চাষ করেছিলাম; বিক্রিও করেছি ৬০ হাজার টাকার মত।”

আরেক চাষি কালু ফকির বাঙ্গি বিক্রি লাভের উপর তাদের জীবিকা চলে জানিয়ে বলেন, “আমাদের আয়ের একটি বিরাট খাত বাঙ্গি। এবার আমি চার বিঘা জমিতে চাষ করেছি; ফলন খুব ভালো।”

এ বিষয়ে মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, হাইব্রিড এ জাতের বাঙ্গির আগাম ফল পাওয়া যায়।  আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাদারীপুরে এবার বাঙ্গির ভালো ফলন হয়েছে। লাভজনক এই ফলটি চাষ বৃদ্ধিতে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিএমএ গফুর বলেন, চলতি মৌসুমে জেলার চারটি উপজেলায় ১৮৮ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে ৬৯ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে।

ফলটির যেহেতু খুব চাহিদা বেশি এবং মাদারীপুরের মাটিতে ভালো হচ্ছে তাই আগামীতে বাঙ্গি চষে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলেও এ কৃষি কর্মকর্তা জানান।