শুক্রবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকায় কাজী অ্যান্ড কোং নামের একটি ইটভাটার এ ঘটনা ঘটে বলে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান।
নিহতরা সবাই পুরুষ, নীলফামারী জেলার জলঢাকা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসে ওই ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন তারা।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নাজির আহমেদ ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই ট্রাকে করে ভাটার জন্য কয়লা নিয়ে আসা হয়েছিল। কয়লার স্তূপের পাশেই একটি টিনশেড ঘরে শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল ভাটার মালিকপক্ষ। ঘটনা যখন ঘটে তখন ১৫ জন শ্রমিক ভেতরে ঘুমাচ্ছিলেন।
“ট্রাকের চালক কয়লা নামানোর জন্য ব্যাক গিয়ারে স্তূপের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারান। ট্রাকটি তখন উল্টে ওই ঘরের ওপর পড়ে।”
আহত দুজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নাজির আহমেদ জানান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান, ঘোলপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী জাফরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।
জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর নিহতদের সৎকারের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।
তবে ভাটার ব্যবস্থাপক কামরুর ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।