দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.২ কুড়িগ্রামে

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2018, 03:03 PM
Updated : 29 Dec 2018, 03:04 PM

শনিবার সন্ধ্যায় আবহওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়, এ উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বুলেটিনে বলা হয়, রাজশাহী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

কনকনে ঠাণ্ডায় জবুথবু উত্তরের জনপদ

কনকনে ছাণ্ডা ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা অনেক নেমে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে।

ছবি: কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া দপ্তরের পর্যবেক্ষক মোফাকখারুল ইসলাম জানান, গতকাল এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার হঠাৎ তাপমাত্রা নেমে যায়, যা দেশে সর্বনিম্ন হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এই অবস্থা আরও দুয়েকদিন বিরাজ করতে পারে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নিম্নবিত্তের মানুষ হঠাৎ এ ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছে। দিনমজুররা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায়ও তাদের কাজে যেতে হচ্ছে। 

ছবি: কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, শীতের কারণে পুরো জেলার খেটে খাওয়া মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতের কারণে সন্ধ্যার পর থেকেই রাস্তায় লোক চলাচল কমে যায়। পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

শনিবার সারাদিন হিমেল বাতাস অব্যাহত ছিল। আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদ উঠলেও শীতের তীব্রতা কমেনি।

জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, কুয়াশার কারণে সরিষা ক্ষেতের ফুল ঝরে পড়ছে এবং বীজতলায় বোরো ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য রবি ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।