জেলার রুহিয়া থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানান, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে মধ্যঝাড়গাঁও গ্রামের যাত্রু বর্মণের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
যাত্রু বর্মণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম।
“রাত আনুমানিক ১টার দিকে পরিকল্পিতভাবে কেউ বাড়িতে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসার আগেই আগুনে আমার তিনটা খড়ের ঘর ও একটি খড়ের গাদা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার গোলাম মোস্তফা বলেন, “রাত ১টা ৪৯ মিনিটে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আমাদের একটা ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ওসি প্রদীপ বলেন, “রাতের বেলা কেউ এ আগুন লাগাতে পারে বলে মনে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ দিলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো।
তিনি বলেন, “আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনকে অনুরোধ করি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”
গত শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার সিংগিয়া শাহাপাড়া গ্রামের কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে তার আটটি ঘর, সাতটি ছাগল, ৬০ মণ ধান ও আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন কৃষ্ণ ঘোষ।