সোমবার কাপাসিয়ায় উপজেলা শহরে সাফাইশ্রী এলাকায় নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর স্থানীয় আড়াল বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় তিনি আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার শিকার হন। তিনি নিজেসহ ১০/১২ জন কর্মী সেদিন আহত হন।
কাপাসিয়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করতে গেলে ওসি আবু বকর সিদ্দিক তা নেননি জানিয়ে দ্রুত তার প্রত্যাহার দাবি করেন রিয়াজুল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি আবু বকর বলেন, “ওই ঘটনায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজুল অভিযোগ করেন, ভোটের প্রচার শুরুর দিন থেকেই বিভিন্ন স্থানে তার নেতা-কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। প্রচার কাজের ব্যবহৃত মাইক, গাড়ি ভাংচুর করা হচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ও পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা ও ওসিকে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
“আজগুবি ও কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে আমার দলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. খলিলুর রহমান, সদস্য সচিব সাখাওয়াত হোসেন এবং ওয়ার্ডভিত্তিক সম্ভাব্য নির্বাচনী এজেন্টসহ শত শত নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করে গ্রেপ্তারের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আমার টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।”
জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কাজী আফতাব উদ্দিন, থানা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক লাল, কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বেপারি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ।
বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত বলেন, “ফৌজদারি কোনো অপরাধ হলে অবশ্যই অভিযোগ আমলে নেব।তবে নির্বাচনী অভিযোগ হলে তা রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে আসতে হবে।”
সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পুলিশ পায়নি বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।