শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস সেতু পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দীন ফারুকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেতুর এক নম্বর পিলারের নিচে দুইজনের লাশ পেয়েছি আমরা। তাদের সঙ্গী একজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
আর সেতুর অপরপ্রান্তে ভেড়ামারা থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দন বলেছেন, তার এলাকায় সেতুর গার্ডারে আহত অন্তত ছয়জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পদ্মার ওপর পৌনে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ শতবর্ষী এই রেলসেতুর দুই প্রান্ত পড়েছে পাবনার পাকশী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়। সেতুর ওপর গার্ডার বেশ খানিকটা উঁচুতে থাকলেও দুই প্রান্তে ওঠা ও নামার সময় গার্ডার থাকে ট্রেনের ছাদের কাছাকাছি।
রেল পুলিশের সদস্যরা জানান, দুই দিন সরকারি ছুটির সঙ্গে বিজয় দিবস মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি পাওয়ায় বহু মানুষ বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনে করে বাড়ির পথ ধরেন। টিকেট না পাওয়ায় অনেক যাত্রী নিষেধ না শুনে ছাদে চড়ে বসেন।
ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের ছাদেও বেশ কিছু যাত্রী ছিল বলে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দীন ফারুকী নিহত দুজনের নাম জানাতে পারেননি। তবে আহত একজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানিয়েছে, পদ্মার এ প্রান্তে নিহত ও আহত সবার বাড়ি বগুড়ায়, তারা পেশায় শ্রমিক।
আর ভেড়ামারায় আহতদের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পাঁচজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন আবদুল্লাহ নামের একজন সেনা সদস্য, সাজু, সুমন, শাহাবুল এবং অজ্ঞাতপরিচয় সংজ্ঞাহীন এক ব্যক্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, ভেড়ামার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা আসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আর ইব্রাহিম নামে ২০ বছর বয়সী এক তরুণ ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি আছেন বলে এ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুপ্রভা জানিয়েছেন।