রোববার হেমায়েতপুরের মধ্যযাদুরচরে র্যাব-৪ এ অভিযান চালায়।
অভিযানে অংশ নেওয়া উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ কায়সার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মধ্য যাদুরচর এলাকায় রবি নামে এক ব্যক্তি ‘রেবেক্স এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘এসআর ট্রেডিং’ নাম ব্যবহার করে বিষাক্ত ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে মুরগি ও মাছের খাবার তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলেন।
“কম দামে এ খাবার কিনে এক শ্রেণির অসাদু ব্যবসায়ী মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলে এ খাদ্য গ্রহণকারী মাছ ও মুরগির ভোক্তারা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।”
তিনি বলেন, অভিযানে কারখানায় উদপাদিত প্রায় ১৫০ টন উৎপাদিত পণ্য (মুরগি ও মাছের খাবার) ধ্বংস করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কারখানাটি এবং এর যন্ত্রপাতি ভেঙ্গে অকেজো করে দেওয়া হয়েছে এবং ফিড প্যাকেটজাত বস্তা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তবে র্যাবের অভিযানের খবর পেয়ে কারখানার মালিক রবি ও তার কর্মকর্তা-কর্মচারী পালিয়ে গেছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
র্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম বলেন, ফিড তৈরির খারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে।
ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে তৈরি খাদ্য মুরগি ও মাছে খেলে মানুষের ক্যান্সারসহ নানা রোগ হতে পারে বলে জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. খবির উদ্দিন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুল হাকিম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এমদাদুল হক, সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী মন্ডল প্রমুখ।