বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আঁখিতারা ও কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে সরাইল সার্কেলের এএসপি মো. মনিরুজ্জামান ফকির জানান।
নিহতরা হলেন-নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আঁখিতারা গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে হারুন (৫৫) ও কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি এলাকার কালা মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (৪০)।
আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এএসপি মনিরুজ্জামান বলেন, গ্রামের একখণ্ড জমি নিয়ে স্থানীয় সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার হামিদ মিয়ার বিরোধ চলছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার সকালে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
“এ সময় হারুনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন; পরে হারুনকে হাসপাতালে নিয়ে গেল সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি এলাকার প্রবাসীর স্ত্রী মাহমুদা বেগম তার ভাশুর মোতাহার মিয়ার কাছে পাওয়া টাকা চাইতে গেলে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
পরে মাহমুদা তার প্রতিবেশীদের বিষয়টা জানালে মানিকসহ আরও কয়েকজন মোতাহারকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করার জন্য যায়। এ সময় মোতাহার ও তার লোকজন মাহমুদাসহ তাদের উপর হামলা করলে মানিক আহত হন।
“তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”
লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে বলে কসবা থানার ওসি আব্দুল মালেক জানান।