ডোমার থানার ওসি মোকছেদ আলী ব্যাপারী বলেন, বুধবার মধ্য রাতে শহরের রেল স্টেশন বাজার সংলগ্ন সন্ন্যাসী মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে বলে মন্দির কমিটির অভিযোগ। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
“মন্দিরে একজন পাহারাদার ছিলেন। তার আত্মীয় মারা যাওয়ায় ওই রাতে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তার পরিবর্তে সেখানে আর কেউ ছিলেনও না।”
তদন্তে কোনো দুষ্কৃতকারীকে শনাক্ত করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলার অন্য মন্দির ও দুর্গা মণ্ডপে পুলিশ বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমাটি নির্মাণাধীন ছিল জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুল আলম বাবুল বলেন, “মাটির ভারেও পড়ে যেতে পারে, আবার কোনো দুস্কৃতকারীও ভাঙতে পারে। নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, পৌর মেয়র মনছুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আলম বাবুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
দুষ্কৃতকারীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ গুপ্ত।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্র্র্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি খোকা রাম রায় দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন।