সাজাপ্রাপ্ত বাকি দুই কর্মকর্তা হলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুষমা সুলতানা (ঘটনার সময় ছিলেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) এবং আশাশুনির বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামাল হোসেন।
আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সাবরিনা চৌধুরী মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, ২০১৭ সালের একটি জমির মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেন সরকারের এই তিন কর্মকর্তা।
“এ বিষয়ে শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সাবরিনা চৌধুরী (সহকারী জজ আদালত, আশাশুনি) তাদের তিনজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশ লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও আদেশ দিয়েছে আদালত।”
রায় ঘোষণার সময় কোনো বিবাদী আদালতে ছিলেন না।
এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি গাজী লুৎফর রহমান বলেন, “বিবাদপূর্ণ জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সরকারের এই তিন কর্মকর্তা পাঁচিল তোলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠলে আদালত এটাকে অপরাধ বলে গণ্য করে।
“বিবাদীরা উপস্থিত না হলেও আদালত শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করে।”