শুক্রবার রাতে ঘোষগ্রাম হাইস্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ঘোষগ্রাম হাইস্কুলের ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্র রুবাইত হোসেন (১২), সপ্তম শ্রেণির শাকিল হোসেন (১৩) ও স্থানীয় যুবক সম্রাট (২২)।
রুবাইদকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে রানীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের জাভের আলীর ছেলে। আহত অপর দুইজনকে স্থানীয়ভাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের বাড়িও একই গ্রামে।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আশিকুজ্জামান রাব্বী নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় ডেকোরেশন দোকানের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম বলেন, রাত ১১টার দিকে লটারীর ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করছিলেন গোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খান।
“ওই সময় হঠ্যাৎ বিকট শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এরপরই লটারির মঞ্চে থাকা রুবাইদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মঞ্চের উপর লুটিয়ে পড়ে। এ সময় আতংকে লোকজন দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে।”
“গ্রেপ্তার রাব্বী ভবানীপুর গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে। রাব্বী এই হামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে রুবাইদসহ অপর দুইজন টার্গেট ছিল না; তারা বেপরোয়া গুলির শিকার হয়েছে।”
এ ব্যাপারে রানীনগর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন।
রুবাইদের বোন ফেন্সি খাতুন জানান, তার বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী, মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত লটারির টিকেট কেটেছিল রুবাইদ। ফলাফল জানান জন্য সে ওখানে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়।