ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই ইয়াকুব আলী জানান, সদরঘাটের গ্রিনলাইন লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় বুড়িগঙ্গা থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত মো. আরিফুল ইসলাম (২২) রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর মারুফদহ গ্রামের মো. মাইনুদ্দিনের ছেলে তিনি।
আরিফুল সোমবার সকাল ১০টার দিকে কেরাণীগঞ্জের বাসা থেকে টিউশনির জন্য সূত্রাপুরের উদ্দেশে বের হয়ে আর ফেরেননি।
এসআই ইয়াকুব বলেন, সোমবার বিকালে এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নদীর মাঝখানে ভাসতে থাকা লাশ উদ্ধার করে।
“শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃত্যুর কারণ অনুমান করার মত কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি।”
নিহত আরিফুলের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম লাশ শনাক্ত করেছেন বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় পরিবার অভিযোগ দেয়নি। তবে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পানি থেকে আরিফুলের ব্যাগ ‘উদ্ধারকারী’ নজরুল মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
নজরুল মাঝি সম্পর্কে আরিফুলের সহপাঠী মিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, সোমবার বিকালে আরিফুলের মোবাইল নম্বরে কল দিলে নজরুল মাঝি রিসিভ করেন।
নজরুলের দাবি, তিনি পানিতে ভাসমান অবস্থায় ব্যাগটি পেয়েছেন। ‘কিছু কাগজ ও ১২০ টাকাসহ মানিব্যাগ ও মোবাইলটি’ পান বলে তার দাবি।
পুলিশ তাকে থানায় আটক রেখে জিঙ্গাসাবাদ করে। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে খোঁজাখুঁজি করে পুলিশ। তাকে সন্দেহ না হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জানান এসআই ইয়াকুব।