অভিযোগের মুখে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সাকিদার ওই জায়গা ইজারা নেওয়ার দাবি করলেও ভূমি কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের জমি ইজারা নেওয়ার সুযোগ নেই।
স্থানীয়রা বলছেন, এক সময় যে খালে নৌকা চলতো তাতে ‘দলীয় প্রভাব খাটিয়ে‘ তিনতলা ভবন নির্মাণ করেছেন আব্দুল হামিদ।
ভূমি কর্মকর্তারা জানান, ২০১৫ সালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ১৩ নম্বর বড় বিনোদপুর মৌজার বোরহান সরদার, লোকমান সরদার ও ফোরকান সরদারের কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান হামিদ সাকিদার ও তার ছোট ভাই নাদির সাকিদার এক শতাংশ জমি কেনেন। পরে ওই জমির সঙ্গে লাগোয় খালের কিছু অংশ ভরাট করে ভবন নির্মাণ করেন তারা।
বিনোদপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবুল হাসেম তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই জমির উত্তর ও পূর্ব পাশে গয়াতলা বড় ব্রিজের সীমানা থেকে শুরু করে গয়াতলা বাজারের পশ্চিম মাথা পর্যন্ত দক্ষিণ পাশের পুরোটাই ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি জমি।
“হামিদ ও তার ভাই ওই সরকারি জমির প্রায় দুই শতাংশ দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। গত বছরের জানুয়ারি মাসে নির্মাণকাজ শেষ হয়।”
স্থানীয় বাসিন্দা ইসান মোল্লা বলেন, “হামিদ সাকিদার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ওই খালের জমি দখল করে বহুতল ভবন তৈরি করেছেন।”
তৎকালীন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খবির উদ্দিন বলেন, হামিদ সাকিদার খালের ওপর ভবন তৈরির কাজ শুরু করলে তাকে কাজ বন্ধ করতে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু হামিদ নোটিস পাওয়ার কথা অস্বীকার করে ভবন তৈরির কাজ চালিয়ে যান।
“পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।”
ওই জমি ইজারা নেওয়ার বিষয়ে হামিদের দাবি উড়িয়ে দিয়ে খবির বলেন, “এ জমির শ্রেণি পরিবর্তন ছাড়া লিজ দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদ সাকিদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন বলেন, “আমি আমার কেনা জমির পাশের সরকারি জমি লিজ নিয়ে ভবন নির্মাণ করেছি।
“সরকারি নোটিস এলে আমি ভেঙে ফেলব।”
খাল দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, “সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”