কুড়িগ্রামে উপ-নির্বাচন: জাপা প্রার্থীর বর্জনের হুমকি

প্রচারে বাধাদানসহ কয়েকটি অভিযোগ তুলে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আক্কাছ আলী সরকার।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2018, 03:40 PM
Updated : 21 July 2018, 03:40 PM

শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় এবং দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি একথা বলেন।

সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমএ মতিন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আক্কাছ আলী সরকার পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা ও পাল্টা হামলার অভিযোগ করেন।

সভায় জাপা প্রার্থী অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বাধা দিচ্ছে। তারা উপজেলা জাপা কার্যালয় এবং তার গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। তার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

নির্বাচনী পরিবেশ অনুকূল না থাকায় তিনি নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেন।

একই অভিযোগ তুলে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেও নির্বাচন বর্জনের হুমকী দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আক্কাছ আলী সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে জপা প্রার্থী আক্কাছ আলী সরকার

আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমএ মতিন অভিযোগ করেন, জাপা প্রার্থী বহিরাগত লোকজন এনে নির্বাচনী এলাকায় আতংক সৃষ্টি করেছেন। তার কর্মীর উপর হামলা, পোস্টার ছেঁড়া, জোড় করে কর্মীকে জাতীয় পার্টির পক্ষে কাজ করানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করা এবং সাধারণ ভোটারদের অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেন তিনি।

এনিয়ে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির সমর্থকরা তার ছেলের উপর হামলা করলে তিনজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুজন উলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে তিনি জানান।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ যদি উত্তপ্ত হয়ে যায় তাহলে প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে কাজ করবে। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে সব ধরনের চেষ্টা নেওয়া হবে।

“মানুষ যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”  

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, রংপুর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আনওয়ার হোসেন, রংপুর ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক বশির আহম্মদ, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসর জিএম সাহাতাব উদ্দিন প্রমুখ।

সভায় প্রশাসনের লোকজন ছাড়াও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।