বুধবার দুপুরে রাজশাহী কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড মিলনায়তনে প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় এ দাবি তোলেন প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী।
তাদের দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা দরকার তার কোনো ত্রুটি থাকবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
সভায় বুলবুল বলেন, “আজকে রাজশাহীতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নির্বাচনের পরিস্থিতি নয়। এটি যুদ্ধের পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে যদি নির্বাচন করতে হয় তা হলে আগামী দিনে আরও শোচনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
“তাই আজকে সেনাবাহিনী প্রয়োজন। কারণ যারা আমাদের পাহারা দেবে তারা যদি একজন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে তা হলে আমরা কোথায় নিশ্চয়তা পাব?”
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “তারা (বিএনপি) হারলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় আর জিতলে নির্বাচন স্বচ্ছ হয়। এটিই তাদের চরিত্র।
তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি মোটা অংকের কালো টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কালো টাকা যেন ভোটের মাঠে বা ভোটাদের মাঝে দিতে না পারে এটি নিশ্চিত করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, “আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই। ইতিপূর্বে নির্বাচনী কাজে যারা ভালো দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের বাছাই করে নির্বাচনী কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ১৪০০ পুলিশ, ১৯৩২ আনসার, ৪৫০ র্যাব, ৪৫০ বিজিবি এবং ৪০ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, “প্রতিটি ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীকে যেন ভোট দিতে পারে আমরা সেটাই চাই। ভোটের আগের রাতে কেন্দ্র দখল করে সিল মারার কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।
“খুলনা ও গাজীপুরে একটি কেন্দ্রেও এ ধরণের ঘটনা ঘটে নাই। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আপনাদের সহযোগিতা পেলে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও কোনো ধরনের অনিয়ম হবে না।”
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহীর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৩০ জুলাই বরিশাল ও সিলেটের সঙ্গে রাজশাহী সিটি করপোরেশনেও ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।