রোববার ১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গণসংযোগ করেন।
তারা নিজ নিজ প্রতীকের পক্ষে ভোট চান। এছাড়াও অপপ্রচার ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো এবং আচারণবিধি লংঘনের অভিযোগ করে পরস্পরের প্রতি।
রোববার খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে থেকে সাতটি এবং মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষ থেকে চারটি অভিযোগ করা হয় রিটার্নিং অফিসারের কাছে।
এ নিয়ে রোববার পর্যন্ত লিটনের পক্ষ থেকে ১৭টি এবং বুলবুলের পক্ষ থেকে ১৬টি অভিযোগ রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেওয়া হয়েছে।
“কারণ একের পর এক রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। নির্বাচন কর্মকর্তারা একজন প্রার্থীর আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছেন।”
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, রোববার পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষ থেকে ১৭টি ও বিএনপির প্রার্থীর পক্ষ থেকে ১৬টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আগের উভয় পক্ষের কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ মেলেনি। রোববার যে অভিযোগগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলোও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আতিয়ার রহমান জানান, নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর আইন সহায়তা উপ-কমিটির সদস্য সচিব মুসাব্বিরুল ইসলাম রোববার বিএনপির-জামায়াতের ‘স্বশস্ত্র ক্যাডাররা’ ধানের শীষের পক্ষে প্রচারে অংশ নিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, অপপ্রচার, অর্থের প্রলোভন ও পোস্টার ফেন্টুন ছিঁড়ে নষ্ট করছে মর্মে পাঁচটি অভিযোগ রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেন।
এছড়া মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নিজে কর্মীদের পুলিশি হয়রানি ও তার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত না দেওয়ায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
এদিকে, ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তোফাজ্জাল হোসেন তপু অভিযোগ করেন, শনিবার বিকালে নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বোষপাড়া এলাকায় ধীনের শীষের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি নান্নুকে হুমকি দেয় নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা।
বিভিন্ন ওয়ার্ডে ধানের শীষের নারী কর্মীদের ভিডিও চিত্র ধারণ ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেন তোফাজ্জাল।