বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের ৫ নম্বর আমলী আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেন সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.রাকিবুল হাসান।
বিচারিক হাকিম মো. সুমন হোসেন অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ২ অগাস্ট পরবর্তী দিন রেখে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলী।
তিনি বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানো বাধ্যতামূলক হলে অধ্যক্ষ কৃষ্ণচন্দ্র তার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টানাননি।
“অধ্যক্ষ তার কক্ষে ছবি না টানিয়ে সংবিধানের নির্দেশ লঙ্ঘন করেছেন।”
এ ব্যাপারে ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আদালতের আদেশ এখনও পাইনি। আদেশ পাওয়ার পর তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অধ্যক্ষ ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে তার স্ত্রী সরস্বতী বর্মন বলেন, “কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষটি স্থানান্তরের কাজ চলছিল। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর ছবিটি নামিয়ে রাখা হয়।
“গত ১ জুলাই কলেজে নবীনবরণ ছিল। পর দিন ছাত্রলীগের ছেলেরা অধ্যক্ষের কক্ষে এসে ন ছবি না টানানোর কারণে তাকে লাঞ্ছিত করে।”
এদিকে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার সালথা থানার সামনে মানববন্ধন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।