লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টানা বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

লালমনিরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2018, 03:51 PM
Updated : 5 July 2018, 03:51 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটর উপর দিয়ে বইছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উজানের ঢলে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

এতে জেলার পাঁচটি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন।

হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের তিস্তা চরবেষ্টিত গ্রামগুলোর বসতঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিংগিমারী, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ি, বড়খাতা,পাটিকাপাড়া,সানিয়াজান,কালীগঞ্জের ভোটমারী,আদিতমারীর মহিষখোচা,সদরের খুনিয়াগাছ,রাজপুর ইউনিয়নের আশপাশের কয়েকটি গ্রামে পানি ওঠায় দুদিন ধরে পানিবন্দি রয়েছে মানুষ।

এসব পানিবন্দি মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।

বন্যার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙনে গত দুদিনে জেলায় শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো।

আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড় বালুর বাঁধের প্রায় দুইশ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধটি রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলে কাজ শুরু করেছে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড।।

এদিকে সদর উপজেলার পানিবন্দি এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ ।

জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার নদী তীরবর্তী ১০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোয় পানি ঢুকে পড়েছে।সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের পানিবন্দি মানুষের তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

“কতগুলো পরিবার পানিবন্দি রয়েছে তা আগামীকাল জানা যাবে।পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।