বরং এখনও বাদীর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯৯৬ সালের ১৯ জুন সদর থানার পাশে পত্রিকা অফিসে কর্মরত অবস্থায় গুলিতে খুন হন পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন। তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর।
আলাউদ্দিনের মেয়ে পত্রদূতের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা পারভিন সেজুতি বলেন, “গত ২২ বছর ধরে খুনিরা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে পরিবারের সদস্য ও সাক্ষীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কবে বিচার হবে আর কবে আমরা এই হুমকি থেকে রেহাই পাব তা আজও জানি না।”
তবে বিচার শেষের দিকে বলে একজন আইনজীবী জানিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়। ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ইতোমধ্যেই ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
“আর সম্ভবত মাত্র একজনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। সেজন্য ২৭ জুন দিন ঠিক করা রয়েছে। অন্য সাক্ষীরা কেউ কেউ বিদেশে; কেউ কেউ মারা গেছেন।”
মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে সাতক্ষীরার জজ আদালতের পিপি ওসমান গনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ১১ মাস পর সিআইডি অভিযোগপত্র দেয়। পরে কয়েকজন আসামি উচ্চ আদালতে কোয়াশমেন্টের আবেদন করলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
“আমি পিপি হয়ে সেই কোয়াশমেন্ট বাতিল করি। আসামিদের চূড়ান্ত শাস্তি হবে বলে আশা করছি।”
মামলার ১০ আসামির মধ্যে রয়েছেন আবদুস সবুর, খলিল উল্লাহ ঝড়ু, আবদুর রউফ, মমিন উল্লাহ মোহন, সাইফুল্লাহ কিসলু।
এদিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি উদযাপন করেছে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন সংগঠন। নিহতের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা হয়েছে। সভায় সাংবাদিকরা খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।