জেলা শহরে যেকোনো সময় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী পার্থ।
চাতলাপুর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা মো. জামাল আহমেদ জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে চাতলাপুর স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে সীমান্তের দুইদিকে বহু বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিক আটকা পড়েছেন।
“মৌলভীবাজারের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে মনু নদ বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শহরের প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে।”
এছাড়া ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
কুলাউড়া, রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, ১৩২টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনগরে ৪২টি, কুলাউড়ায় ৬০টি ও কমলগঞ্জে ৩০টি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম জানান, প্লাবিত উপজেলাগুলোর জন্য ১১৫ টন খাদ্য এবং ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় অফিস, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।