ওই কিশোরীর (১৪) দাদি বাদী হয়ে বুধবার রাতে মামলাটি করেন বলে সাদুল্লাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমরানুল কবির জানান।
ঘটনার পর থেকে আসামি সুজন মিয়া (২৩) পলাতক রয়েছেন। তিনি উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আজম উদ্দিন খাঁর ছেলে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক আফরুজা সুলতানা বলেন, “মেয়েটির শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সে আশঙ্কামুক্ত নয়। তবে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
পুলিশ কর্মকর্তা এমরানুল বলেন, ওই কিশোরী বুধবার বেলা ১১টার বাড়ির পাশে নারীর ছড়া নামক এলাকায় ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়। এ সময় প্রতিবেশী সুজন তার মুখ চেপে ধরে আখক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
“কিশোরীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সুজন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকায় সন্ধ্যায় তাকে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
তিনি বলেন, মামলার পর রাতেই আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।