হবিগঞ্জে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ‘ধামাচাপার চেষ্টা’

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় দুই সপ্তাহ আগে ‘ধর্ষণের’ শিকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

রাসেল চৌধুরী হবিগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2018, 12:28 PM
Updated : 16 May 2018, 12:28 PM

বিষয়টিকে টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে।

চুনারুঘাট থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল রয়েছে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিকেল করানোর জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

মেয়েটির বাবা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, চুনারুঘাট পৌর এলাকার নতুন বাজারে আশ্রায়ন প্রকল্পে হাজী ইয়াছির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর পরিবার থাকে।

গত ২ মে মেয়েটির বাবা-মা মেয়েকে সেখানে রেখে হাওর এলাকায় যান কয়েকদিনের জন্য। এ সুযোগে একই এলাকার মৃত শিরু মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (৩৭) ওই রাতে মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করে তাকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। এভাবে পরপর দুইদিন ধর্ষণের কারণে রক্তকরণে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এরপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে খবর পেয়ে মা-বাবা বাড়ি ফিরে আসেন।  

এদিকে বিষয়টি টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চুনারুঘাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজল মিয়ার বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে কাজল মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেয়েটির পরিবার দরিদ্র। মামলা দিয়ে তারা কোনো ফায়দা পাবে না। তাই মেয়ের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

মেয়েটির চিকিৎসা ব্যয় এবং আইনি সহায়তার দায়িত্ব নিয়েছে সেরকারি সংস্থা ব্র্যাক।

ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির সংগঠক অন্নিকা দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্র্যাকের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ওই এলাকায় গেলে বিষয়টি তাদের গোচরে আসে। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে যাওয়ার পর সেখানে পুলিশও যায়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

“এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। কারণ উজ্জ্বল মিয়া একজন বখাটে প্রকৃতির লোক। সে এর আগে তিনটি বিয়ে করেছে। দুই বউ তাকে ছেড়ে চলে গেছে।”