মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রামেন্দ্র চক্রবর্তী জানান, বুধবার মনু নদীর পানি কুলাউড়া মনু রেলব্রিজ এলাকায় বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার এবং চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ধলাই নদীর পানি কমলগঞ্জে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে হচ্ছে।
বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় বিকাল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
নদীর পানি বাড়ার কারণে কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও সদর উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকার ২৬ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া ধলই নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি।
“তবে সকালে রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩৫ ফুট ভাঙন সৃষ্টি হয়। এ ভাঙন দিয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করে লক্ষ্মীপুর গ্রামে প্লাবিত হয়েছে।”
এছাড়া হঠাৎ পানি বাড়ায় কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৬ হেক্টর ফসল প্লাবিত হয়েছে। তবে হাকালুকি হাওরের শতভাগ ধানকাটা শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা কৃষি অধিদপ্তর।
মৌলভীবাজার জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. শাহাজান জানান, পানি বাড়ায় জেলায় ২৬ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলে দ্রুত পানি নেমে যাবে; ফলে পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা নাই।