বুধবার বিকালে ‘প্রিন্স ট্যানারির’ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে বলে ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইচি) গোলাম নবী জানান।
মৃতরা হলেন মাহবুব (৫০) ও হাসান (২৪)।
অসুস্থ মোয়াজ্জেমকে (১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কারখানার অন্য শ্রমিকদের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ ট্যনারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই কারখানায় জুতার সোল তৈরি হয়। এতে মহিষের চামড়া ব্যবহার করা হয়।
“চামড়া ‘পিকলিং’ করার জন্য মাহবুব ও হাসান একটি হাউজে নামার পর কেমিক্যালের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের উদ্ধার করতে মোয়াজ্জেম নামলে তিনিও অসুস্থ হন।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে মাহবুব ও মোয়াজ্জেমকে ঢাকা মেডিকেলে আনলে মাহবুবকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মোয়াজ্জেমকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসানের মৃত্যু আগে হওয়ায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়নি বলে জানান এসআই বাচ্চু।
এর আগে সাভার মডেল থানার ওসি মোহসিনুল কাদির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে, “মারা যাওয়ার খবর আমাদের কাছেও আছে। পুলিশের দুইটি টিম ঢাকা মেডিকেলে রওয়ানা হয়েছে। কীভাবে কী হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।”
তিনি জানান, ট্যানারি থেকে অসুস্থদের নিয়ে রওনা হওয়া টিমে রয়েছেন ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইচি) গোলাম নবী এবং সাভার থানা থেকে যাওয়া টিমে আছেন এসআই সেলিম রেজা।