তারেক আসুক চান না বিএনপি নেতারা: কাদের

বিএনপি ফাঁদে পড়ায় দলটির নেতারা উল্টাপাল্টা কথা বলছেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2018, 12:05 PM
Updated : 28 April 2018, 12:14 PM

শনিবার নারায়ণগঞ্জে তিনি বলেন, বিএনপি ফাঁদে পড়ে গেছে। এই ফাঁদ থেকে বের হওয়ার জন্য বিএনপি একেক দিন একেক কথা বলছে। বিএনপি নেতারাও চান না তারেক জিয়া দেশে আসুক।

“সকালে এক কথা বিকেলে আরেক কথা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। সে দণ্ডপ্রাপ্ত, আবার পলাতক। সাহস থাকে তো বাংলাদেশে আসুক।”

২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য তারেক রহমান যুক্তরাজে্যে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানে রয়েছেন্। ইতিমধে্যে দুটি মামলায় দেশে তার সাত বছর ও ১০ বছর সাজা হয়েছে।  যুক্তরাজে্যে তার পাসপোর্ট জমা দেওয়ার ঘটনায় সরকারের দাবি তিনি বাংলাদেশে নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন্। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে সরকারি ও বিএনপি নেতাদের মধে্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে।   

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন,  জেল-জুলুম রাজপথ যারা মোকাবেলা করতে পারে না, “এই বাংলার মাটিতে তারা কোনোদিনও নেতা হতে পারবে না। তারেক জিয়া রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে। সেই কাগজ আমাদের কাছে আছে।”

যুক্তরাজ্যে তারেক রহমানের রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে দলটির নেতাদের মন্তব্যেরও সামলোচনা করেন কাদের।

“বিএনপি এখন বলে রাজনৈতিক আশ্রয়। এতদিন শুনেছি চিকিৎসার জন্য; এখন রাজনৈতিক আশ্রয়। জোর করে রাজনৈতিক আশ্রয় বানাচ্ছে।”

সরকার তারেক জিয়াকে দেশে আনতে পারবে না বলে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, “তার মানে ওনি দেশে থাকবেন না। তার মানে বিএনপিও চায় না তারেক জিয়া দেশে আসুক “

গত নয় বছরের নয়দিনও বিএনপি রাজপথে দাঁড়ায়নি বলে উল্লেখ করে কাদের বলেন, “এই বছর না ওই বছর; আন্দোলন হবে কোন বছর? রোজার ঈদ তার পরে বলে কোরবানীর ঈদ। দেখতে দেখতে নয় বছর পার হয়ে গেছে। আন্দোলনের মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না।”

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, বিএনপির এখন আন্দোলন নেই, আছে শুধু নালিশ। নয়াপল্টনে ঘরের ভেতরে বসে প্রেস ব্রিফিংয়ের নামে নালিশ করা, আর বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে নালিশ করা। প্রেস বিফিং করে মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজায়। 

দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের উদ্বোধন শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দেন মন্ত্রী।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য বাবু ভাল, কিন্তু তার আশপাশের মানুষ যদি খারাপ হয় তবে এই ভার ম্লান হয়ে যাবে। কর্মীরা যদি জনগণের সাথে খারাপ আচরণ করেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, তবে একজন জনপ্রতিনিধি কোনো অন্যায় না করেও খেসারত দিতে হবে।

গত নয় বছরে দেশে যা কাজ হয়েছে এই কাজের সাথে ভাল আচরণ যুক্ত হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, আড়াইহাজার উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া, আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মোল্লা।

এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।