রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জে অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাজিতপুর উপজেলার দড়ি ঘাগটিয়া গ্রামের সেলিম মিয়া, আঙ্গুর মিয়া ও জমশেদ মিয়া।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জোছনা বেগম নামে এক আসামিকে খালাস ও প্রধান আসামি ফুদুর আলী ওরফে রিপন (২৮) বিচার চলাকালীন সময়ে ২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে এপিপি এ কে এম আমিনুল হক ভুঞা চুন্নু জানান।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, একই গ্রামের নাজনু মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জমি-জমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জেরে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ফুদুর আলী ওরফে রিপন মোবাইল ফোনে কল করে নাজনু মিয়াকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে আসামি আঙ্গুর মিয়ার বাড়ির কাছে নাজনুর গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পরদিন নাজনুর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।