বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল হক।
সদরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ অভিযানে ৮৪ মণ ইলিশ জব্দ করা হয়েছে বলে হরিণা ফেরিঘাট নৌ-ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই গিয়াসউদ্দিন জানান।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইলিশ ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম বাঁশখালির শেখের খীল এলাকার আবু তালেব (৩৫), ট্রাক চালক বাঁশখালি মাওলা পাড়া পূর্বাঞ্চল এলাকার মাহবুব আলম (৩০) ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ইসকান্দার (২৮)।
এসআই গিয়াসউদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ইলিশ পাচারের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে অভিযান চালানো হয়। এসময় হরিণা ফেরিঘাট এলাকা থেকে ইলিশ বোঝাই একটি ট্রাক জব্দ ও এক ব্যবসায়ীসহ ট্রাক চালক ও তার সহকারীকে আটক করা হয়।
আটক আবু তালেব বলেন, চট্টগ্রাম সাগর অঞ্চলে বড় ইলিশ আহরণ করতে নিষেধ নেই। ওই এলাকার মৎস্য বিভাগ আহরণ করা মাছের সাইজ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। বড় সাইজের ইলিশের চালান নিয়ে তারা চট্টগ্রাম থেকে মাগুরা যাচ্ছিলেন।
“চাঁদপুরে ইলিশ পরিবহন নিষিদ্ধ জানা থাকলে এই রুটে আসতাম না।”
জব্দ ইলিশ হিমাগারে সংরক্ষণ এবং ট্রাকটি নৌ পুলিশের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর ৬০ কিলোমিটার এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।