কোটা সংস্কারের পক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিযোদ্ধা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের একজন মুক্তিযোদ্ধা।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 April 2018, 10:23 AM
Updated : 11 April 2018, 10:38 AM

জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ে বুধবার স্থানীয় শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসে মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম (৭০) বলেন, “আমি এই শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। আমাদের এখানে বহু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা চাকরি পাচ্ছে। অথচ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও তারা ও তাদের সন্তানরা চাকরি পাচ্ছে না। তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।”

দবিরুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ছোট পলাশবাড়ী গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে। তার গেজেট নম্বর ৮৯৭ বলে তিনি জানান।

দবিরুলের ছেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তপন মাহমুদ জানান, তারা তিন বোন ও দুই ভাই। তাদের মধ্যে ভড় ভাই ভাস্কর ইসলাম নৌবাহিনীতে চাকরি করেন। আর এক বোন দিপালী বেগম একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক। অন্য দুই বোন গৃহিণী।

তার সরকারি চাকরিজীবী তিন সন্তানের মধ্যে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়েছেন বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, “আমার গ্রামের অনেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে কোটা সুবিধা পাচ্ছে না।”

দবিরুলের বক্তব্য সম্পর্কে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দবিরুল ইসলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা। কোটা নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতেই পারেন। তবে আমি এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।”

এর আগে মঙ্গলবার একই স্থানে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা কোটা বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল মান্নান বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে মঙ্গলবার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। সেটা আমি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি।”

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, “একজন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল চেয়েছেন এটি আমি জানি না।”