‘জুম্মদের সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিতকরণ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসুন’ স্লোগানে সোমবার বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, সাংক্রান, বিষু, বিহু উদযাপন পরিষদ এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
সকালে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়। পরে শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
প্রতিবছর এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পাহাড়িরা শোভাযাত্রায় নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরে। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে তাদের সংস্কৃতির বৈচিত্র্য তুলে ধরে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৈসাবির আমেজ সবার কাছে পৌঁছে যায়।
আলোচনা সভায় ঊষাতন তালুকদার বলেন, ভূমি বিরোধ কমিটির এবং চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির সভা হয়েছে। সরকার নানাভাবে সাধারণ মানুষেকে বিভ্রান্ত করতে চায় চুক্তির ৯৮ ভাগ করেছে এমন কথা বলে। যতভাগ করেন না কেন আসলটা তো দেন নাই।
‘পাহাড়ের মানুষের মনে বিজু’র আনন্দ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখানে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় করে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করবে; কিন্তু সমতলের ন্যায় এখানকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রশাসন পরিচালনা করছে, যা আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাঙামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
রাঙামাটি বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, সাংক্রান, বিষু, বিহু উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুণ চাকমা প্রমুখ।