জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটে সোমবার মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিও যুক্ত হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় রোববার রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় পুলিশ মামলা করেছে।
রোববার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ সদরের গোপিনাথপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লোকাল বাস উল্টে গেলে চন্দ্রদিঘলিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীসহ দুইজন নিহত হন।
এ ঘটনার পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। এছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
এরপর জেলা বাস মালিক সমিতির জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে দুপুরের পর থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রোববার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনস বাসস্ট্যান্ডে জেলা বাস মালিক সমিতি প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সমিতির সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান লিটন, সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন এবং জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাসু শেখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তরা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বলেন, মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল করছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনার জন্য অবৈধ যানবাহনই দায়ী। গোপালগঞ্জে বিগত কয়েক মাস ধরে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলেই বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কোনো মামলা নিচ্ছে না।
অবৈধ যান চলাচল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জেলার সব রুটে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বক্তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সমিতিকে চিঠি দিয়ে ধর্মঘটে আনারও হুমকি দেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় রোববার রাতে ৭/৮শ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা করেছে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
এদিকে, ধর্মঘটের ফলে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। ইজিবাইক, ভ্যান-রিকশা অথবা হেঁটে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।