ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গোলাম মাওলা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে উচালিখা ইউনিয়নের মরিচারচর নামাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গোলাম মাওলা বলেন, মরিচারচর নামাপাড়ার এক যুবক গার্মেন্ট শ্রমিক দুই মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন আরেক গার্মেন্ট শ্রমিককে। কয়েকদিন আগে তিনি বাবার বাড়ি যান।
পরিদর্শক গোলাম মাওলা বলেন, বাবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে শুক্রবার বিকালে স্বামীর বাড়ি ফেরেন ওই গৃহবধূ।
গৃহবধূ ও তার স্বামীর বরাত দিয়ে এই পরিদর্শক জানান, গভীর রাতে একই গ্রামের আল আমিন, রতন মিয়া, আবুল বাশার ওরফে বাদশাসহ সাত ব্যক্তি স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায়।
“ব্রহ্মপুত্র নদের বালু চরে নিয়ে তাকে তারা ধর্ষণ করে।”
শনিবার সকালে নদের পাড় থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয় বলে জানান তিনি।
পরিদর্শক মাওলা বলেন, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সাত জনকে আসমি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদের মধ্যে আবুল বাশার ওরফে বাদশা মিয়া ও রতন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মেয়েটির স্বামী বলেন, রাত ১ টার দিকে হঠাৎ তাদের দরজায় এসে ডাকাডাকি করে প্রতিবেশী আল আমিনসহ কয়েকজন। দরজা খুলতেই তিন জন তাকে ধরে বাড়ির কাছে একটি স্থানে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। অন্যরা তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায়।
ওই গৃহবধূ বলেন, চার ব্যক্তি তার মুখ বেঁধে বাড়ি থেকে পাশের ব্রহ্মপুত্র নদের বালু চরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে।