আদালতের আদেশেও দায়িত্ব পাননি প্রধান শিক্ষক

আদালতের আদেশেও নওগাঁর রাণীনগরে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।  

নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2018, 02:09 PM
Updated : 23 March 2018, 02:09 PM

রানীনগর উপজেলা সদরে রানীনগর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম।

এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সদর উপজেলার চকউজির গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নজরুল ইসলাম ২০০৪ সালের ১৪ মার্চ রানীনগর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

এরপর একটি প্রভাবশালী মহল ষড়যন্ত্র করে ‘তাকে কাজ করতে না দেওয়ায়’ রাণীনগর সহকারী জজ আদালতে তিনি মামলা করেন বলে নজরুল ইসলাম জানান।

নজরুল বলেন, ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ আদালত শিক্ষক নজরুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বহাল আছেন মর্মে রায় দেয়। তিনি ২০০৪ সালের ২৮ মার্চ থেকে এ পদে আছেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

তিনি আরও জানান, গত ২৩ জানুয়ারি নজরুল ইসলামের প্রধান শিক্ষক হিসেবে বহালে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে নওগাঁর সরকারি কৌঁসুলি এই বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর আইনগত মতামত দেন।

নজরুল জানান, আদালতের আদেশ ও সরকারি কৌঁসুলির মতামতের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দীন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে গত ১২ মার্চেএকটি পত্র দেন; তাতে সাত দিনের মধ্যে তাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে বলেন।

কিন্তিু নজরুল ইসলাম গত ১৪ মার্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করলেও দায়িত্বভার বুঝিয়ে না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুছ সোবহান প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা দিয়ে নানা টালবাহনা করছেন বলে নজরুলের অভিযোগ।

এ ব্যাপারে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, “নজরুল ইসলামের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা একটি আপিল করেছি। এছাড়া আগামী শনিবার বিদ্যালয়ে একটি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হবে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তবে আপিল করলেও আদালতের আগের রায় স্থগিত করা হয়নি বলে তিনি জানান।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দীন বলেন, “বিষয়টি নিয়ে মত-বিরোধ দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে আগামী শনিবার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

রাণীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার বুঝে নিতে নজরুল ইসলাম একটি লিখিত আবেদন করেছেন। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।