শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপশহর কেন্দ্রীয় মসজিদ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। পরে নগরীর গোরহাঙ্গা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ দুর্ঘটনায় নিহত স্ত্রীকে তিনদিন আগে একই স্থানে দাফন করা হয়।
জানাজার আগে তার কফিন জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় এবং মহানগর পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়।
পরে জেলা প্রশাসন ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় তার দুই মেয়ে, পরিবারের সদস্য ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা মিজানুর রহমান মিনু, জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলী সরকার উপস্থিত ছিলেন।
পরিবার নিয়ে নজরুল ইসলাম নগরীর উপশহরের বাড়িতে থাকতেন। নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী আক্তারা বেগমও নিহত হয়েছেন। মরদেহ দেশে আসার পর গত মঙ্গলবার তাকে একই কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরদেহ শনাক্তে জটিলতার কারণে নেপাল থেকে নজরুল ইসলামের মরদেহ আসে বৃহস্পতিবার।
নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। তার স্ত্রী আক্তারা বেগম ছিলেন রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক।
এ দুর্ঘটনায় নজরুল ইসলাশের বন্ধু নিহত হাসান ইমাম ও তার স্ত্রী বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানুও নিহত হন। হাসান ইমাম দম্পতি তাকতেন নগরীর শিরোইল এলাকায়। তাদের দাফন করা হয়েছে ঢাকায়।
এই দুই বন্ধু পরিবার নেপাল বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
নেপাল দুর্ঘটনায় রাজশাহীর তিন দম্পতিসহ মোট সাতজন ছিলেন। অন্য তিনজন হলেন- রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমরানা কবির হাসি, তার স্বামী রকিবুল হাসান ও নগরীর নওদাপাড়ার গোলাম কিবরিয়ার নিউইয়র্ক প্রবাসী মেয়ে বিলকিস আরা মিতু।
এদের মধ্যে বেঁচে আছেন শুধু হাসি। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলছে তার। হাসির হাতের চারটি আঙুল কেটে ফেলতে হয়েছে।
গত ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ। এতে নিহত হন বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটসহ ৪৯ জন। এদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। তাদের স্মরণে ১৫ মার্চ দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়।